শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার,
করুণা-আকর যিনি দয়ার পাথার।
প্রলয়ান্তক সেই বিপদ
কোন সে বিপদ ধ্বংস ভয়?
কীসে সে তোমারে জানাল, সেই
বিপদ ভীষণ প্রলয়ময়?
বিক্ষিপ্ত পতঙ্গপ্রায়
সেদিন উড়িবে লোক সবায়,
বিধূনিত লোমবৎ সেদিন
পর্বতরাজি উড়িবে বায়।
সেদিন সে পাবে সুখী জীবন
পাল্লা যাহার হবে ভারী,
পাল্লা হবে হালকা যার
(হবে) ‘হাভিয়া’ দোজখ মাতা তারই।
হাভিয়া কী, তুমি জান কি সে?
প্রজ্বলিত বহ্নি সে।
সূরা কারেয়া পবিত্র কোরআনের ১০১ নম্বর সূরা। এই সূরা মক্কা শরীফে অবতীর্ণ হইয়াছে। ইহাতে ১১টি আয়াত, ৩৫টি শব্দ ও ১৬০টি অক্ষর আছে।
শানে-নুজুল – কেয়ামতের ভীতি প্রদর্শন ও ইসলামের বিজয়ের ইঙ্গিত করার জন্য এই সুরা নাজেল হয়।
এমাম কাতাদা বলেন—একদা ইহুদিগণ বলিয়াছিল যে, আমরা বিপক্ষ দল অপেক্ষা সংখ্যায় অধিক; সেই সময়ে এই সুরা নাজেল হয়। এমাম এবনে কসিরের মতে, মদিনাবাসী বনি-হারেস ও বনি-হারেসা এই দুই দল ধনসম্পদের অহঙ্কার করিয়াছিল, তজ্জন্য এই সূরা নাজেল হয়।