বহ্নি-পতঙ্গ

‘আমার কাছে পুলিস হুইসল ছিল‌, আমি সেটা সজোরে বাজিয়ে গাছ থেকে লাফিয়ে পড়লাম। পাণ্ডেজিও গাছ থেকে লাফিয়ে নামলেন। তাঁর বাঁ হাতে টর্চ‌, ডান হাতে রিভলবার।

‘রতিকান্ত নিজের টর্চ নিভিয়ে দিয়েছিল। পাণ্ডেজির টর্চের আলো যখন তার গায়ে পড়ল তখন সে পিস্তল পকেটে রেখে হাঁটু গেড়ে শকুন্তলার হাত থেকে চিঠিখানা নিচ্ছে। আহত বাঘের মত সে ফিরে তোকাল‌, তারপর বিদ্যুৎবেগে পকেট থেকে পিস্তল বার করল।

‘কিন্তু পিস্তল ফায়ার করবার অবকাশ তার হল না; পাণ্ডেজির রিভলবারে একবার আওয়াজ হল—‘

ব্যোমকেশ থামিলে ঘর কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ হইয়া রহিল। ডাক্তার পালিতের চুরুট নিভিয়া গিয়াছিল‌, তিনি সেটা আবার ধরাইলেন। মিস মান্না একটা কম্পিত নিশ্বাস ফেলিলেন।

‘শকুন্তলা ভাল মেয়ে ছিল না। কিন্তু—‘

ব্যোমকেশ বলিল‌, ‘হ্যাঁ। সে সম্মোহন মন্ত্র জানত।–চাঁদনী এখনও বিশ্বাস করে না যে শকুন্তলা দোষী। —‘

আমি বলিলাম‌, ‘ওদের জীবিত ধরতে পারলেই বোধহয় ভাল হত–’

পাণ্ডেজি মাথা নাড়িলেন‌, ‘না‌, এই ভাল।’

(সমাপ্ত)

0 Shares