সূরা কোরাইশ – কাব্যানুবাদ

শুরু করিলাম শুভ নামে আল্লার
রহিম ও রহমান যিনি দয়ার পাথার।

কী অদ্ভুত আচরণ কোরায়শগণের,
ব্যক্ত যাহা পর্যটনে শীত গ্রীষ্মের।
এখন উচিত, তারা সেই অনুরাগে
এই গৃহাধিপতির অর্চনায় লাগে।
যিনি অন্ন দিয়াছেন তাদের ক্ষুধায়,
ভয়ে দিয়াছেন শান্তি – পূজুক তাহায়।

সূরা কোরায়শ পবিত্র কোরআনের ১০৬ নম্বর সূরা। ইহা মক্কায় নাজেল হইয়াছে। এই সূরাতে ৪টি আয়াত, ১৭টি শব্দ ও ৭৯টি অক্ষর আছে।

শানে-নুজুল – আবরাহার দলের উপর জয়ী হওয়ায় আবেসিনিয়াবাসীদের সম্বন্ধে এই সূরা অবতীর্ণ হয়।

করশ শব্দ হইতে কোরায়শ শব্দ উৎপন্ন হইয়াছে। ইহার আভিধানিক অর্থ সংগ্রহ করা বা উপজীবিকা সংগ্রহ করা। কোরায়েশগণ ব্যবসায় দ্বারা অর্থ বা উপজীবিকা সংগ্রহ করিতেন—তজ্জন্য তাঁহারা এই নামে অভিহিত হইতেন।

এবনে আব্বাসের মতে, কোরায়েশ নামক এক প্রকার জলজন্তু সমুদ্রে বাস করে। উহারা সামুদ্রিক জন্তুদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বৃহৎ। উহারা যে কোনো সামুদ্রিক জন্তুর নিকট উপস্থিত হয় তাহাকেই গ্রাস করে; কিন্তু অন্য কোনো জন্তু উহাদিগকে গ্রাস করিতে পারে না। আরব দেশের সর্বাপেক্ষা পরাক্রমশালী সম্প্রদায় কেলাবের পুত্র কোছাইয়ের বংশধরেরা এই নামে অভিহিত। তাহারা বাণিজ্যার্থ শীতকালে ইমন প্রদেশের দিকে ও গ্রীষ্মকালে শাম (সিরিয়া) দেশের দিকে যাইত। কাবাগৃহের রক্ষক ও অধিপতি বলিয়া উভয় দেশের নরপতিগণ তাহাদিগকে প্রচুর সম্মান করিত; আর তাহারাও বস্ত্র, খাদ্য ইত্যাদি আবশ্যকীয় বস্তুগুলি স্বদেশে আনয়ন করিত ও বাণিজ্যে বেশ লাভবান হইত। কানানার পুত্র নাজারকে কোরায়েশ নামে অভিহিত করা হইত। তৎপর তাহার বংশধরেরা উক্ত নামে অভিহিত হইতে থাকে। হজরত ও তাঁহার ৪ জন খলিফা এই বংশসম্ভূত।

কোরায়শ—আরবের একটি বিখ্যাত গোত্র। এই গোত্রেই হজরত জন্মগ্রহন করেন।

0 Shares