শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার,
নাহি আদি নাহি অন্ত যাঁর করুণার।
অধিক লোভের বাসনা রেখেছে তোমাদেরে
মোহ-ঘোরে,
যাবৎ না দেখ তোমরা গোরস্থানের
আঁধার গোরে।
না, না, না, তোমরা শীঘ্র জানিবে পুনরায়
(কহি) ত্বরা
জ্ঞাত হবে; না, না, হতে যদি জ্ঞানী ধ্রুব সে
জ্ঞানেতে ভরা।
দোজখ-অগ্নি করিবে তোমরা নিশ্চয় দর্শন
দেখিবে তাহারে তার পর লয়ে বিশ্বাসীর নয়ন।
–নিশ্চয় তার পরে
হইবে জিজ্ঞাসিত আল্লার চিরসম্পদ তরে।
সূরা তাকাসুর পবিত্র কোরআনের ১০২ নম্বর সূরা। এই সূরা মক্কা শরীফে অবতীর্ণ হইয়াছে। ইহাতে ৮টি আয়াত, ২৮টি শব্দ ও ১২৩টি অক্ষর আছে।
শানে-নজুল – কোরেশকুলের এক শাখার নাম বনি-আব্দ-বেনে মান্নাফ, অপর শাখার নাম বনি-সাহম। প্রত্যেক শ্রেণী অহঙ্কারে মত্ত হইয়া বলিতে লাগিল—আমরা অর্থে, ঐশ্বর্যে, সম্ভ্রমে ও লোকসংখ্যায় শ্রেষ্ঠতর। এমনকি, প্রত্যেক দল স্বীয় গৌরব বর্ধনের নিমিত্ত আপন দলভুক্ত লোকদিগকে গণনা করিতে আরম্ভ করিল। এই গণনায় আব্দ-মান্নাফ বংশের লোক সংখ্যায় অধিক হইল। পরে জীবিত ও মৃত উভয় শ্রেণীর লোক গণনা করায় বনি-সাহম দলের লোকসংখ্যা অধিক হইল। লোকসংখ্যা নিরূপণের নিমিত্ত তাহারা গোরস্থানে গিয়াছিল। সেই সময় এই সূরা নাজিল হয়।
মতান্তরে : ইহুদিগণের নামে সংখ্যাধিক্য লইয়া কলহের সূত্রপাত হওয়ায় মদিনাবাসী বনি-হারেস ও বনি-হারেসা এই দুই দল পরস্পর ধনৈশ্বর্যের অহঙ্কার করায় এই সূরা নাজেল হয়।